জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে বেশ এগিয়ে হিলারি

 শুক্রবার প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোস প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে ট্রাম্পের চেয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হিলারি।  সোমাবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে জরিপটি চালানো হয়। এতে দেখা যায়, ৪৬ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার হিলারির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন, অপরদিকে ট্রাম্পের পক্ষে ছিলেন ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার।  ১৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোটার দুজনের কাউকেই সমর্থন জানাননি। ১,২৭৬ জনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জরিপটি করা হয়।


চলতি বছরের ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের মাধ্যমে নিজ নিজ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল।  এক সপ্তাহ আগে করা রয়টার্স/ইপসোসের পূববর্তী জরিপেও প্রায় একই ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। তিনি ইতোমধ্যেই নিজ দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৩৮৩টি ডেলিগেট ভোট জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে বেশ এগিয়ে হিলারি


তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ২২৭ বছরের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এতদূর আসতে পারেননি কোনো নারী।
বিজ্ঞাপন
আর নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন পর্ব যোগ হবে। দেশটি প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের মুখ দেখবে।

এর আগে ২০০৮ সালে দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমক্রেটিক পার্টির বারাক ওবামা।

গেল মাসে জনপ্রিয়তা জরিপে ৬৯ বছর বয়সী ট্রাম্প কিছু সময়ের জন্য ৬৮ বছর বয়সী হিলারিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু একজন মেক্সিকান-আমেরিকান বিচারকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

বিরোধী ডেমক্রেটিক শিবির ছাড়াও নিজ দলের নেতাদের সমালোচনাও শুনতে হয়েছে ট্রাম্পকে।
নিজের নামে তথাকথিত ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের’ নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করার জন্যও সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। নামে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ কিন্তু কাজে শুধু ব্যবসা হওয়ায় ওই প্রকল্প নিয়েও চাপে আছেন তিনি। এতে তার জনপ্রিয়তার পারদ কিছুটা নিম্নমুখী বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে রিপাবলিকান দলীয় শেষ প্রাইমারিগুলোতে তার পক্ষে দলীয় সমর্থকদের ব্যাপক সমর্থন লক্ষ্য করা গেছে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url