ব্যাটিং ধসের পর লঙ্কান বোলারদের লড়াই

 ১ উইকেটে ১৬২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা চা বিরতির আগে গুটিয়ে যায় ২৮৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ১২৮ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১০৯ রানে। দুই ইনিংস মিলিয়ে লিড ২৩৭। শ্রীলঙ্কা ধাক্কা খায় সাত সকালেই। দিনের সপ্তম আর নিজের প্রথম বলেই ক্রিস ওকস ফেরান কুশল মেন্ডিসকে।


খানিক পর আরও বড় ধাক্কা। আগের দিন দারুণ খেলা কৌশল সিলভাকে ফেরান স্টুয়ার্ট ব্রড। ৭৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওপেনার করতে পারেননি আর কোনো রান। অধিনায়ক ম্যাথিউস বা আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান চান্দিমাল, টিকতে পারেননি কেউ। লাঞ্চের আগেই শ্রীলঙ্কা হারায় ৫ উইকেট।

সপ্তম উইকেটে কুশল পেরেররা সঙ্গে রঙ্গনা হেরাথের জুটি খানিকটা উদ্ধার করে দলকে। ডোপ নিষেধাজ্ঞার পর আইনী লড়াই করে ফেরা পেরেরা নিজস্ব ঢংয়ে খেলে ৭ চারে করেছেন ৪২। ৭১ রানের এই জুটি ভাঙার পর শ্রীলঙ্কার শেষটাও হয় খুব দ্রুত।

ব্যাট হাতে দারুণ অর্ধশতকের পর বল হাতেও দারুণ সফল ওকস। নিয়েছেন ৩ উইকেট। দলে জায়গা সুতোর ওপর ঝুলছিল যার, সেই স্টিভেন ফিনও ৩ উইকেট নিয়ে জানান দিয়েছেন টিকে থাকার বার্তা।

ব্রড-অ্যান্ডারসন নিয়েছেন দুটি করে। ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসকে টপকে দুই ইংলিশ পেসার এখন টেস্ট ইতিহাসের সফলতম নতুন বলের জুটি!

ফিন জায়গা বাঁচানোর কাজ সেরে রাখলেও পারেননি নিক কম্পটন। সম্ভব শেষ সুযোগটাতেও ব্যর্থ, আউট হয়েছেন ১৯ রানে।

ব্যাটিং ধসের পর লঙ্কান বোলারদের লড়াই

অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে উদ্বোধন করেছিলেন কম্পটন। ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামেননি অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক। টানা ১০ বছর ওপেন করার পর পারলেন না এই প্রথম।
বিজ্ঞাপন
পরে তৃতীয় দিনে আর ব্যাটিংয়েই নামেননি কুক। যার মানে, চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামলে ১২৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ব্যাট করবেন তিন নম্বরের নিচে।

নুয়ান প্রদিপ পরে পরপর দুই বলে ফিরিয়েছেন জো রুট ও জেমস ভিন্সকে। প্রথম ইনিংসের রেকর্ড গড়া শতকের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ শুরু করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু শেষ বিকেলে তিনিও শিকার প্রদিপের।

এক প্রান্ত আগলে দিন শেষ করেছেন অ্যালেক্স হেলস। দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোরকার্ড বলবে, ধুঁকছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের স্কোরকার্ড বলবে, ভিত মজবুত ইংলিশদেরই!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪১৬

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১৬২/১) ৯৫.১ ওভারে ২৮৮ (করুনারত্নে ৫০, কৌশল ৭৯, মেন্ডিস ২৫, থিরিমান্নে ১৭, ম্যাথিউস ৩, চান্দিমাল ১৯, পেরেরা ৪২, হেরাথ ৩১, এরাঙ্গা ১, লাকমল ০, প্রদিপ ০; অ্যান্ডারসন ২/৬১, ব্রড ২/৭৯, ফিন ৩/৫৯, ওকস ৩/৩১, মঈন ০/৩৮)।

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১০৯/৪ (কম্পটন ১৯, হেলস ৪১*, রুট ৪, ভিন্স ০, বেয়ারস্টো ৩২, ফিন ৬*; লাকমল ০/৩২, এরাঙ্গা ১/২৫, প্রদিপ ৩/২৫, হেরাথ ০/১৬, ম্যাথিউস ০/৮)।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url