খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার-সাজার দাবিতে চট্টগ্রামে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিসত্তাসমূহের অস্তিত্ব
ধ্বংস করতে নানা চক্রান্ত জিইয়ে রেখেছে
- বক্তারা





চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,
সিএইচটি নিউজ

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট
২০২৩

খাগড়াছড়ির
স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডের ৫ম বার্ষিকীতে ঘটনার মদদদাতা-খুনিদের গ্রেফতার ও সাজার
দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে পাহাড়ের তিন সংগঠন বৃহত্তর
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন
(এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)।

এতে বক্তারা বলেছেন, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভর বাজারে সংঘটিত
হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পূর্ণ হলেও প্রশাসন চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত,
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার করছে না। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অগ্রগতি বিষয়েও
মুখ খুলছে না। বরং রাষ্ট্রীয় বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে
পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন-গুম-অপহরণ ও নারী ধর্ষণের মত জঘণ্য ঘটনা ঘটাচ্ছে। কাজেই
এখান থেকে স্পষ্ট হয় যে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরে সাত খুনের ঘটনা রাষ্ট্রীয় বাহিনী
প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং তাদের মদদে সন্ত্রাসীরা সুপরিকল্পিতভাবে এ
হত্যাকাণ্ড
  চালিয়েছে। এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের
অস্তিত্ব ধ্বংস করতে শাসকগোষ্ঠী নানা চক্রান্ত জিইয়ে রেখেছে। এর বিরুদ্ধে পাহাড়ি
জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।




আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট ২০২৩)
 বিকাল ৪টায় নগরীর ডিসি হিল থেকেএকটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব হয়ে চেরাগী পাহাড়
মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।


‘পার্বত্য
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে অব্যাহত দমন-পীড়ন, ধরপাকড় ও অরাজকতা বন্ধ কর’ শ্লোগানে
‘অবিলম্বে লোমহর্ষক স্বনির্ভর বাজার হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা-খুনীদের গ্রেফতার-সাজা
প্রদান, টালবাহানা না করে কল্পনার চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস গঙদের বিচার ও
আদালত কর্তৃক জামিনপ্রাপ্তদের কারাফটকে পুনঃগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ
মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।


সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয়
সহ-সাধরণ সম্পাদক রূপন মারমার সভাপতিত্বে ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি
ছাত্র পষিদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য
রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের চট্টগ্রাম
অঞ্চলের পূর্ব-৩ এর সভাপতি ভুলন ভৌমিক, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক
রিতা চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সাইফুর
রূদ্র, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবির ইসলাম। এছাড়াও
সমাবেশে সংহতি জানান বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) মার্কসবাদীর নেতা কবির
উদ্দিন আবির।

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান 

সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান
বলেন, পার্বত্য এলাকার জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীর উপর নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে। শেখ মুজিব
থেকে জিয়াউর রহমান একই আচরণ করেছেন এবং বর্তমানে হাসিনা সরকার একই আচরণ করছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে গত পঞ্চাশ বছর ধরে অশান্তি চলছে, সেটা বন্ধ দরকার।
মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে এদেশের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা জনগণের ওপর প্রভুত্ব
করছে, সাধারণ জনগণকে তাদের দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। এদেশের সাধারণ জনগনের অধিকার
প্রতিষ্ঠা হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো আদালতের জামিন পেয়ে বের হওয়রা সময় কারাফটক
থেকে তুলে নিয়ে নতুন মামলায় জড়িয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা ঘটছে। তিনি পার্বত্য
চট্টগ্রাম নিপীড়নের বিরুদ্ধে পাহাড় ও সমতলের সকলকে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান
জানান।




অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিক বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট
স্বনির্ভর হত্যাকান্ডের পরে চট্টগ্রাম থেকে আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম, গিয়ে সেখানে
পাহাড়ি জনগনের আকুতি দেখেছি, দেখেছি বিজিবি সদর দপ্তর ও পুলিশ পোস্টের ২০০ গজের
মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সন্ত্রাসীরা হত্যাকাণ্ড
চালাতে পেরেছে। স্বনির্ভর বাজারে সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেখানে স্পষ্ট রয়েছে ভারী
অস্ত্র দিয়ে কারা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। আজ ৫ বছর হল কিন্তু সন্ত্রাসীদের কাউকে
গ্রেফতার করেনি। এর থেকে প্রমাণ হয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মদদে স্বনির্ভর হত্যাকান্ড
সংঘটিত হয়েছে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিক

তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরে ভিকটিম পরিবারের
লোকজন থানায় মামলা করতে গিয়েছিল কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে চীফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে মামলা করতে হয়েছে। আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব
দিলেও গত ৫ বছরে মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি এবং আলোর মুখ দেখেনি। এদেশের প্রশাসন
সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলা প্রদান ও গ্রেফতারে যতটা ত
পর কিন্তু সাধারণ জনগনের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে
ততটাই ত
পর নয়। প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ আজ কোন বিভাগ
সরকারের হস্তক্ষেপ মুক্ত নয়। সারা দেশের জনগণকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং
রুখে দাঁড়াতে হবে।




তিনি, সমাবেশে উত্থাপিত ৫ দফা সমর্থন জানিয়ে
অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।




সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রূপন মারমা স্বনির্ভর
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট সেনা মদদপুষ্ট জেএসএস
সংস্কারবাদী ও নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে প্রকাশ্য পুলিশের সম্মুখে খাগড়াছড়ি
সদরের স্বনির্ভর বাজারে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। সন্ত্রাসী ভারী অস্ত্র নিয়ে
২৫ মিনিটের মত হামলা চালিয়ে পিসিপি নেতা তপন-এলটন ও যুব নেতা পলাশ চাকমাসহ পৃথক
পৃথকভাবে সাত জনকে হত্যা করেছিল। আজ ৫ বছরেও উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের
গ্রেফতার করা হয়নি। উপরন্তু সেনা-প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এই খুনি সন্ত্রাসীরা
প্রতিনিয়ত খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ, নারী ধর্ষন-নির্যাতনসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করছে।




তিনি অবিলম্বে সেনাবাহিনীর ত
কালীন খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদদের সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনী ভেঙ্গে দিয়ে পার্বত্য
চট্টগ্রামে খুন-গুম-অপহরণ বন্ধ করার দাবি জানান।


ছাত্র নেতা অমল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য
চট্টগ্রামে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা সেনাবাহিনী দেশের আইন-আদালতকে বৃদাঙ্গুলী দেখিয়ে
কোর্ট-কাছারিতে গোপন নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। আদালত প্রাঙ্গনে বিশেষভাবে নিয়োজিত
রয়েছে সেনা-পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার লোক। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার
সময় সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জেলগেট থেকে তাদের তুলে নিয়ে অবৈধভাবে ব্রিগেড ও
জোনে আটকে রাখে। পরে নতুন মামলায় পুনঃগ্রেফতার দেখিয়ে আবার জেলে দেয়। গত ৩ আগস্ট
২০২৩ হাইকোর্ট কর্তৃক জামিন প্রাপ্ত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি
কুনেন্টু চাকমা রাঙামাটি জেলা কারাগার থেকে বেরুনোর সময়ে ওঁ
ৎ পেতে থাকা সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার চররা কারাফটক থেকে
তাকে তুলে নিয়ে যায়। রাঙামাটি সেনা ব্রিগেডে তিন দিন অবৈধভাবে আটক রেখে নানা হুমকি
ও অবর্ণনীয় মানসিক নির্যাতনের পর অস্ত্র গুঁজে দিয়ে ৬ আগস্ট সকালে কাউখালী থানায়
পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আবার
কারাগারে পাঠায়। এর আগে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একইভাবে তাকে জেলগেট থেকে তুলে
নিয়ে পুনরায় গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছিল সেনা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অপরাধে দীর্ঘ ৪ বছরের অধিক
ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমা অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন। শুধু কুনেন্টু চাকমা
একা নন, ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি ও
চট্টগ্রামের কারাগারে পিসিপি-ডিওয়াইএফ ও ইউপিডিএফ-এর অনেক নেতা-কর্মী
দুর্নীতিগ্রস্ত সেনাচক্রের রোষানলের শিকার হয়ে অন্তরীণ রয়েছেন। এমনকী অনেক সাধারণ
নিরীহ লোকও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার শিকার হয়ে নিগৃহীত হচ্ছেন।




কল্পনা অপহরণকারীদের সাজা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে
রিতা চাকমা বলেন, ১৯৯৬ সালে ১২ জুন নারী নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৭ বছর
পেরিয়ে গেলেও চিহ্নিত অপহরণকারী লে: ফেরদৌস, ভিডিপি সদস্য নুরুল হক ও সালেহ আহমেদ
গঙদের বিচার হয়নি। এ রাষ্ট্র কল্পনা চাকমা অপহরণের সাথে জড়িতদের শাস্তি প্রদান না
করে বিচারের নানা টালবাহানা করছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার
পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। আর কালক্ষেপন না করে কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারী লে.
ফেরদৌস গংদের গ্রেফতার ও বিচার করে সাজা প্রদান করতে হবে।


সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা
দেশের চিত্রও ভাল নয়। সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন
চালাচ্ছে। যারা নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলেন কিংবা লেখা-লেখি করেন, তাদেরকে
কারাগারে নিক্ষেপ করে নির্যাতন করা হচ্ছে। নৈশ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়
অধিষ্ঠিত অবৈধ সরকার গদি নিরঙ্কুশ করতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহকে জনগণের বিরুদ্ধে
লেলিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য সেনা-আমলারা অবৈধ সরকারের আশির্বাদপুষ্ট
হয়ে দমন-পীড়নে নিয়োজিত রয়েছে। এদেশের জনগণ এদের রেহাই দেবে না। অবৈধ সরকার ও
দুর্নীতিগ্রস্ত কায়েমী স্বার্থবাদী সেনাচক্রের এ অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে পাহাড়
ও সমতলে আওয়াজ তুলতে হবে।


 

সমাবেশ থেকে বক্তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে অব্যাহত দমন-পীড়ন, ধরপাকড়সহ মানবাধিকার লঙ্ঘন
বন্ধ,খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর বাজার লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ প্রশাসনের নিকট থাকা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে খুনী
নব্য মুখোশ বাহিনী ও সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার-সাজা প্রদান, কালক্ষেপণ ও
টালবাহানা না করে কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস গঙদের
গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও সাজা নিশ্চিত করা, আদালতে জামিনপ্রাপ্তদের
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম জেলা কারাগারের ফটক থেকে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক
তুলে নিয়ে পুনঃগ্রেফতার বন্ধসহ অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সারাদেশে মতপ্রকাশের
স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।







 


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url