সাজেকে নতুন সেনাক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে পানছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

পানছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩


রাঙামাটির সাজেকে ৮নং পাড়া (খুলোমনি কার্বারি
পাড়া) এলাকায় নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পার্বত্য
চট্টগ্রাম নারী সংঘ।



আজ শনিবার (২৯ জুলাই ২০২৩) সকাল ১১টায়
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের পানছড়ি উপজেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক পরান্টু চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয়
কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরুন চাকমা, ইউপিডিএফের পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক সুবোধ চাকমা, পাহাড়ি
ছাত্র পরিষদ পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সুনীল ময় চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুবফোরাম পানছড়ি উপজেলা
সভাপতি রিপন ত্রিপুরা।



বরুন চাকমা বলেন, সাজেকে নতুন সেনা ক্যাম্প
স্থাপনের ষড়যন্ত্র নতুন কোন ঘটনা নয়, যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়িদের বাস্তভিটা
জোরপুর্বক দখল করে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এভাবে কখনো ক্যাম্প স্থাপন, কখনো
উন্নয়ন, কখনো পর্যটনের নামে পাহাড়িদের হাজার হাজার একর কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি সীমান্ত
সড়কের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের জুম্ম জনগণের এখন পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সীমান্ত
সড়ক আমাদের একদিন কাল হয়ে দাঁড়াবে।



তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়মী লীগ সরকারের সমালোচনা
করে বলেন, এ সরকার সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে
নিয়েছে। যার কারণে সদর এলাকায় আমাদেরকে সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি শাসকগোষ্ঠির
অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।



ইউপিডিএফ সংগঠক সুবোধ চাকমা বলেন, পাহাড়ে
শান্তির কথা বলে পার্বত্য চুক্তি করা হলেও মূলত পাহাড়িদের ধ্বংস করার জন্যই এই চুক্তি
করা হয়েছে। যার ফলে এখনো সেনাশাসন বলবৎ রেখে পাহাড়িদের উপর দমন-পীড়ন, ভূমি বেদখল, অন্যায়
ধরপাকড়সহ নানা উৎপীড়ন চালানো হচ্ছে। সেই চুক্তি মোতাবেক অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের
কথা থাকলেও উল্টো নতুন নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে সাজেক ৮নং
পাড়ায় (খুলোমনি কার্বারি পাড়া) নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন বন্ধের দাবি জানান।



রিপন ত্রিপুরা বলেন, আমরা একটি কারাগারে
বসবাস করছি। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন, রাতে- বিরাতে ঘরবাড়িতে তল্লাশি, ভুমি বেদখল, নারী
নির্যাতন সহ পাহাড়িদের ধ্বংস করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তিনি রাষ্ট্রীয় সকল
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।



সুনীল চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, পাহাড়িদের
ধ্বংস করার জন্য সরকার ও সেনাবাহিনী বিভিন্ন অপকৌশল প্রয়োগ করছে। সেনাশাসন অপারেশন
উত্তরণ ও দমনমূলক ১১ নির্দেশনার মাধ্যমে পাহাড়ি জনগণের উপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল অন্যায়-অবিচার বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।



সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।





 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url