‘স্বাধীন পার্বত্য রাজ্য’কে “জেলায়” রূপান্তর বিষয়ে চবিতে পিসিপি'র আলোচনা সভা

চবি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ১ আগস্ট ২০২৩


ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ১৮৬০ সালের ১ আগস্ট ‘স্বাধীন পার্বত্য রাজ্য’কে
“জেলায়” রূপান্তর বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আলোচনা সভা করেছে বৃহত্তর
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চবি শাখা।



আজ ১ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত
আলোচনা সভায় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ভুবন চাকমার সঞ্চালনায় এবং সহ-সভাপতি নিউটন চাকমার
সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক রোনাল চাকমা। আলোচনা সভায়
মূল আলোচক ছিলেন পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামী সভাপতি সুদেব চাকমা।



সুদেব চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একসময় স্বাধীন ও স্বশাসিত রাজ্য
ছিল। কিন্তু ১৮৬০ সালের ১ আগস্ট ব্রিটিশরা এ স্বাধীন রাজ্যকে তথাকথিত “জেলায় উন্নীতকরণ’
এর নামে এ অঞ্চলকে তাদের শাসন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে।



তিনি আরও বলেন, বহিরাগত শাসকদের হস্তক্ষেপ ও অধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনচেতা
পাহাড়ি জনগণ সশস্ত্র প্রতিরোধ করেছে। মুঘল-ব্রিটিশ আমলে বীরত্বের সঙ্গে এই অঞ্চলের
জনগোষ্ঠীসমূহ লড়াই সংগঠিত করেছে। ধুরন্ধর ব্রিটিশ শাসকদের নিকট এই অঞ্চলের নৃপতিরা
অধীনতা স্বীকার করেনি। কিন্তু দীর্ঘ কাল পরিক্রমায় আজ তাঁরা পরাধীন, নিপীড়িত ও অধিকার
বঞ্চিত।



সভাপতির বক্তব্য নিউটন চাকমা বলেন, অতীতে মুঘল এবং ব্রিটিশ আমলে পার্বত্য
নৃপতিদের সাথে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। কিন্তু কোনো শাসককে চুক্তি বাস্তবায়নে
বাধ্য করতে না পারায় বার বার চুক্তি লঙ্ঘন করে পার্বত্য অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে।
১৯৮৫ এবং ১৯৯৭ সালে জেএসএসের দুটি অংশ সরকারের সাথে চুক্তি সম্পাদন করলেও সক্ষমতার
অভাব এবং শাসকপক্ষ শক্তিশালী হওয়ার কারনে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে না পারায় শাসকরা
লাভবান হয়েছে। ইতিহাসের শিক্ষা এটাই যে, শাসকদের বাধ্য করতে না পারলে রাজনৈতিক অধিকার
অর্জন সম্ভব হবে না। তাই বর্তমান ছাত্র সমাজকে অতীতের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সক্ষমতা
অর্জন করে জাতীয় মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।



 


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url